Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

                                               

এক নজরে “সরকারি  আশ্রয়  কেন্দ্র” , ধলা , ত্রিশাল, ময়মনসিংহ ।


সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র, ধলা,ত্রিশাল, ময়মনসিংহ এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ-

ধলা জমিদার বাড়ির প্রথম জমিদারের নামঃ রায় বাহাদুর প্রসন্ন কুমার চক্রবর্তী । ১৯৪৭ সনে দেশ ভাগের পর সমাজসেবা অধিদফতর কলিকাতা (ভারত) হতে ভাগ হয়ে প্রথমে চাদঁপুর কার্যক্রম  চালু করে । পরবর্তীতে ১৯৬১ সনে ভূমি রিকুইজেশনের মাধ্যমে চাদঁপুর থেকে র্বতমান গাজীপুর জেলার পূবাইল জমিদার বাড়িতে পুরুষদের সেন্টার এবং ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার অর্ন্তগত  ধলা জমিদার বাড়িতে মহিলাদের সেন্টার চালু করেন । পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলার জেলা প্রশাসন ও এল এ ও এর মাধ্যমে সমাজসেবা বিভাগ প্রায় ২,৮০,০০০/- ( দুই লক্ষ আশি হাজার ) টাকায় বাড়িটি ক্রয় করেন । ঐ সময় কোন জমিদার ধলায় বসবাস করতেন না। তারা পূর্বেই ভারত চলে যান। সর্বশেষ জমিদার ছিলেন যোগেশচন্দ্র । তিনিও ১৯৪৭ সনের পূর্বেই ভারত চলে যান। কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কোন আসন সংখ্যা নির্ধারিত ছিল না দৈনিক নিবাসীদের উপস্থিতির উপর মাথাপিছু খরচ দেখানো হতো। ধলায় একই সাথে ছেলে ও মেয়েদের ০২ টি কেন্দ্র চালু ছিল ।পরবর্তী কালে ১৯৭৮ সালে পূবাইল থেকে পুরুষদের ধলা এবং ধলা থেকে মহিলাদেরকে পূবাইল কেন্দ্রে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, তৎকালে প্রতি কেন্দ্রে ১০০০-২০০০ জন নিবাসী বসবাস করত। ১৯৭৫ সালের প্রথম দিকে প্রতিদিন নিবাসী সংখ্যা বৃদ্ধি পায় যাহা এক পর্যায়ে নিবাসী সংখ্যা ১৫০০ জনের উপরে হওয়ার অন্যান্য কেন্দ্র থেকে ১০/১২ জন কর্মচারী প্রেষনে ধলা কেন্দ্রে যোগদান করেন । অতিরিক্ত নিবাসীদের বাসস্থানের জন্য জেলা প্রশাসন ময়মনসিংহ ১ টি টিনের ঘর তৈরী করে দেন। পরবর্তীতে সমাজসেবা অধিদফতরের প্রয়োজন অনুসারে ১৯৭৭ সালে আসন সংখ্যা ৩০০ জন নির্ধারন করা হয় । ধলা জমিদার বাড়িটি ০৩ টি অংশে বিভক্ত ছিল। (১) বড় হিস্যা (২) মধ্যম হিস্যা ও (৩) ছোট হিস্যা। মধ্যম হিস্যার জমিদার প্রসন্ন কুমার চক্রবর্তীর নাতী সত্যব্রত চক্রবর্তি ধলা সি পি হাই স্কুলে লেখাপড়া করতেন । তিনি বর্তমানে ভারতে বসবাস করেন ।ধলা জমিদার বাড়িটি বর্তমানে ১৬.৬৭ একর জমির উপর অবস্থিত। কেন্দ্রের সীমানার বাহিরে একটি জলা ভূমি (ক্ষেত) রয়েছে। জমিদার বাড়ির নির্দশন হিসেবে অনেক পুরানো স্থাপনা ছিল । যাহা কালের বিবর্তনে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পরবর্তী সময় নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় । বর্তমানে অফিস ভবন ছাড়া জমিদার আমলের কোনে স্থাপনা অবশিষ্ট নেই।